জন্ম
‘কানযুল ঈমান ও খাযাইনুল ইরফান’ এবং ‘কানযুল ঈমান ও নূরুল ইরফান’ ইত্যাদির অনুবাদক আরো বহু গ্রন্থ-পুস্তকের রচয়িতা ও সম্পাদক আলহাজ্ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান চট্টগ্রাম জিলার রাউজান থানার ডাবুয়া গ্রামে, এয়াসীন নগর এলাকার আবাদকারী হিসেবে খ্যাত হযরত গাযী খলীফার পুত্র হযরত গোলাম আলী খলীফার* সম্ভ্রান্ত বংশে, বিংশ শতাব্দির ষাটের দশকের এক শুভদিনে (বৃহস্পতিবার) জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আলহাজ্ব মৌলভী মুহাম্মদ এজহারুল হক, পিতামহ মৌলভী নযীর আহমদ এবং প্রপিতামহ স্বনামধন্য জনাব আসাদ আলী খলীফা। তিনি যুগশ্রেষ্ঠ ইসলামিক স্কলার ইমামে আহলে সুন্নাত, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত, ওস্তাযুল ওলামা, শায়খুল হাদীস হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ ক্বাযী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী সাহেব মাদ্দাযিল্লুহুল আলী’র জামাতা।
* (প্রতিনিধি): তদানীন্তন নবাব কর্তৃক প্রদত্ত উপাধি। তাঁর অগাধ ধর্মীয় জ্ঞান-পা-ণ্ডিত্য ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি এ সম্মানজনক উপাধি ও প্রতিনিধিত্ব প্রাপ্ত হন।)
শিক্ষা
তিনি প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গ্রামেই সমাপ্ত করেন। তারপর উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও প্রসিদ্ধ দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া’ থেকে ‘দাখিল’, ‘আলিম’, ‘ফাযিল’ ও ‘কামিল’ (মুহাদ্দিস) (১৯৭৮ সন), অতঃপর চট্টগ্রামের প্রাচীনতম দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াজেদিয়া আলীয়া মাদ্রাসা’ থেকে ‘কামিল’ (ফক্বীহ) (১৯৭৯ সন) অত্যন্ত কৃতিত্বের (মেধা তালিকাভুক্তি) সাথে উত্তীর্ণ হন। অতঃপর ১৯৮০ সনে চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজ থেকে আই, এ, পাশ করেন এবং ১৯৮৩ সনে আলাওল কলেজ থেকে বি, এ (পাশ) সনদ লাভ করেন।
বলা বাহুল্য তিনি শায়খুল হাদীস ওস্তাযুল ওলামা ইমামে আহলে সুন্নাত, হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ ক্বাযী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী (রহ.), গাযযালী-ই-যমান শায়খুল হাদীস ওস্তাযুল ওলামা হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ অধ্যক্ষ মুসলেহ উদ্দীন (রহ.), মুফ্তী-ই যমান ওস্তাযুল ওলামা হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ অধ্যক্ষ মুযাফ্ফর আহমদ (রহ.), ওস্তাযুল ওলামা হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ হাফেয ক্বারী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল জলীল (রহ.), মুহাদ্দিসে যমান শায়খুল হাদীস হযরতুল আল্লামা মরহুম ফযলুল করীম নকশবন্দী (রহ.), মুহাদ্দিসে যমান হযরতুল আল্লামা ইয়ায়াহ্ (রহ.), মুহাদ্দিসে যমান হযরতুল আল্লামা আবদুল আউয়াল ফোরকানী (রহ.), খতীবে আহলে সুন্নাত মুহাদ্দিসে যমান হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আলক্বাদেরী (রহ.) এবং মুফ্তী-ই আহলে সুন্নাত শেরে মিল্লাত আলহাজ্ মুহাম্মদ ওবায়দুল হক নঈমী (রহ.) প্রমুখ দেশবরেণ্য ও যুগশ্রেষ্ঠ ওলামা কেরাম ও বুযর্গানে দ্বীনের ছাত্রত্ব লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন।
কর্মজীবন
কর্মজীবন দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোবহানিয়া আলীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা থেকে তাঁর কর্মজীবনের শুভ সূচনা হয়। ১৯৭৯ ইং থেকে ১৯৮৭ ইং পর্যন্ত এ মার্দাসায় পর্যায়ক্রমে আরবী প্রভাষক ও মুহাদ্দিস হিসেবে দ্বীনী শিক্ষাদানের মহান ব্রত পালন করেন। এরপর ১৯৯৫ ইংরেজীতে চট্টগ্রামস্থ আহছানূল ঊলূম আলীয়া মাদ্রাসায় কিছুদিন আরবী সাহিত্যের পাঠ দান করেন। তারপর ১৯৯৭ ইংরেজীতে চট্টগ্রাম গহিরা আলীয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ইত্যবসরে, তিনি দেশের সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক মাসিক পত্রিকা ‘তরজুমান-ই আহলে সুন্নাত ওয়াল জমায়াত’-এর সহ সম্পাদক ও পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৭ সালে সংযুক্ত আরব আমীরাতের (ইউ, এ, ই) দুবাইতে একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে তিনি তাঁর কর্মজীবনের আরেক অধ্যায়ের সূচনা করেন। ১৯৯১ সনে দুবাইর কেন্দ্রস্থলে একটি প্রাইভেট যৌথ ব্যবসাও আরম্ভ করেন। ইতোমধ্যে স্বদশেও একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ক্বায়েম করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৯১ ইংরেজীতে দুবাইর কেন্দ্র স্থলে ‘সাদিয়া টাইপিং ইষ্টাব্লিশ্ম্যান্ট’ নামের একটা প্রাইভেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তিনি সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ১৯৯৮ ইংরেজীতে একই ইমারতের দেরা দুবাইতে ‘আল-মারজান টাইপিং ইষ্টাবলিশ্ম্যান্ট’ নামের আরেকটা প্রতিষ্ঠান ক্বায়েম করে বিগত ২০০৩ ইংরেজী পর্যন্ত তা পরিচালনা করেন।
২০১৫ ইংরেজীর ২১শে জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত ‘আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার’, চট্টগ্রাম (আলমগীর খানকা¡হ্ শরীফ, ষোলশহর, চট্টগ্রাম)-এর মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন এবং সেখানে বতর্মানে গবেষণার খেদমতে রত আছেন।
লেখালেখি
১. চট্টগ্রাম সোবহানিয়া আলীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতাকালে চট্টগ্রাম থেকে নিয়মিত প্রকাশিত ‘মাসিক তরজুমান-ই আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা‘আত’-এর সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। (১৯৭৯-১৯৮৭ ইং)
২. ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে ‘ধর্মীয় কথিকা’ লিখন ও পঠনের সুযোগ পান। (১৯৮০-১৯৮৭ ইং)
৩. তা’ছাড়া পত্র-পত্রিকায় ও ম্যাগাজিনে স্বনামে ও ছদ্মনামে লেখালেখি করেন।
৪. এ পর্যন্ত কয়েকটা ধর্মীয় বই-পুস্তকের অনুবাদ সম্পাদনা ও প্রণয়ন করেছেন। তম্মধ্যে নিম্নলিখিত গ্রন্থ-পুস্তকগুলোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
ক) অনূদিত
১. তরজমা-ই ক্বোরআন ও তাফসীর ‘কানযুল ঈমান ও খাযাইনুল ইরফান’, মূল লেখক- আ’লা হযরত ইমাম শাহ মুহাম্মদ আহমদ রেযা খান বেরলভী ও সদরুল আফাযিল সৈয়দ নঈম উদ্দীন মরুাদাবাদী (ভারত) [রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হিমা]। ১২০০ পৃষ্ঠায় ১ ও ৩ খণ্ডে প্রকাশিত।
২. তরজমা-ই ক্বোরআন ও তাফসীর ‘কানযুল ঈমান ও নূরুল ইরফান’। মূল লেখক যথাক্রমে, আ’লা হযরত ইমাম শাহ মুহাম্মদ আহমদ রেযা খান বেরলভী ও হাকীমুল উম্মত মুফতী আল্লামা আহমদ ইয়ার খান নঈমী (পাকিস্তান) [রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হিমা] ১৮০০ পৃষ্ঠায় ২ খণ্ডে প্রকাশিত।
৩. ‘মিরআতুল মানাজীহ্ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ (মুল ৮ খ-), মূল: হযরত হাকীমুল উম্মত আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী।
৪. ‘ফয়যানে সুন্নাত’। মূল লেখক- আমীর-ই আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস ক্বাদেরী (পাকিস্তান) [মুদ্দাযিল্লুহুল আলী] ১১৮৪ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত।
৫. ‘ফয়যানে রমযান’। মূল লেখক- আমীর-ই আহলে সুন্নাত, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস ক্বাদেরী (পাকিস্তান) [মুদ্দাযিল্লুহুল আলী], ৫১০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত।
৬. ‘বরকাতে মীলাদ শরীফ’ মূল লেখক মাওলানা শফি উকাড়ভী (পাকিস্তান)।
৭. নূরের নবীই মানবরূপে’ [পায়করে নূর (উর্দু)], প্রকাশিত।
৮. ‘আঁধার থেকে আলোর দিকে’ (আন্ধেরে সে উজালে কী তরফ (উর্দু)], প্রকাশিত।
৯. ‘দেওবন্দী আলিমগণও যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ’ (ইমাম মুহাম্মদ আহমদ রেযা খান বেরলভী] প্রকাশিত।
১০. ‘বাহজাতুল আসরার’। গাউসুল আযম হযরত শায়খ আবদুল ক্বাদির জীলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য জীবনী পুস্তক, মূল লেখক ইমাম আবুল হাসান শাত্বনূফী,
১১. ‘দিওয়ান-ই আযীয’ (ফার্সী কাব্য), মূল : ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাযী আযীযুল হক শেরে বাংলা আযীযুল হক্ব আল ক্বাদেরী
১২. ‘আহসানুল মু’যিযাত’ (ফার্সী কাব্য), মূল : হযরত মাওলানা শায়ের আহসানুল্লাহ্,
১৩. ‘রিসালাহ-ই নূর’, মূল: হাকীমলু উম্মাত মুফতী আহমদ ইয়ার খান (রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হিস্)
১৪. ‘ওহাবী মাযহাবের হাক্বীক্বত’, মূল: মাওলানা মুহাম্মদ যিয়াউদ্দীন ক্বাদেরী সিয়ালকোট (আলায়হির রাহমাহ)-এর বঙ্গানুবাদ, ৭৯৪ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ইত্যাদি।
১৫. শরহে ক্বসীদাহ্ বোর্দাহ্ (প্রকাশিতব্য)
খ. প্রণীত
১. হজ্জে বাইতুল্লাহ ও যিয়ারতে মদীনা মুনাওয়ারাহ্’ [সচিত্র পূর্ণাঙ্গ হজ্জ্ গাইড]।
২. মৌং দেলাওয়ার হোসাঈন সাঈদীর ভ্রান্ত তাসফীরের স্বরূপ উন্মোচন’,
৩. ‘শিয়া ও মওদূদী মতবাদের পারস্পরিক সম্পর্ক’ ইত্যাদি।
বহির্বিশ্ব সফর
১. চাকুরী ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে দুবাই (ইউ.এ.ই) যাত্রা করেন ১৯৮৭ ইংরেজীর ১৬ই মে।
২. ১৯৮৯ ইং, ১৯৯০ ইং, ১৯৯৩ ইং ও ১৯৯৮ ইংরেজীতে এরপর আরো দু’বার পবিত্র হজ্জ্ পালনের উদ্দেশ্যে এবং ইতোপূর্বে ২ (দুই) বার ওমরাহ্ পালনের জন্য মক্কা ও মদীনা শরীফ (সৌদি আরব) সফর করেন।
৩. ১৯৯৯ ইংরেজীতে ‘এরাবিয়ান গাল্ফ’-এর অন্যতম রাষ্ট্র কাতার সফর করেছেন।
৪. ২০০২ ইংরেজীতে ‘দাওয়াতে ইসলামী’ কর্তৃক বিশ্ব ইজতিমায় আমন্ত্রিত হয়ে পাকিস্তানের মুলতান, লাহোর ও করাচি সফর করেন।
৫. ২০০৯ সালে ‘তাহক্বীক্বাত-ই ইমাম আহমদ রেযা ইন্টারন্যাশ নাল’, করাচী-এর আমন্ত্রণে পাকিস্তান সফর করেন। এ সফরে উক্ত প্রতিষ্ঠান তাঁকে ‘কান্যুল ঈমান’-এর সফল বঙ্গানুবাদের জন্য ‘স্বর্ণপদক’ (গোল্ড মেডেল) প্রদান করেন।
৬. তাছাড়া তিনি ভারতও সফর করেছেন।
সামাজিক / প্রাতিষ্ঠানিক অবদান
১. ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন। (১৯৮০-১৯৮৬) বর্তমানে এ সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’ নামক রাজনৈতিক দলের সহযোগী (ছাত্র) সংগঠন।
২. ‘গুলশান-ই হাবীব ইসলামী কমপ্লেক্স, চট্টগ্রাম-এর প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ-সভাপতি। (১৯৯০ ইংরেজীতে প্রতিষ্ঠিত), বর্তমানে সংস্থাটি বিলুপ্ত।
৩. ইমাম আহমদ রেযা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবন ও কর্মের গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান আ‘লা হযরত ফান্ডেশন, বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা।
৪. ‘রেযা রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশান্স, চট্টগ্রাম’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। (স্থাপিত ২০০০ ইং সালের ১লা জানয়ুারী।) বর্তমানে ‘ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম’।]
৫. প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বতর্মানে চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
৬. মহাপরিচালক, আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, আলমগীর খানকাহ্ শরীফ, ষোলশহর চট্টগ্রাম।
গ. বিদেশে
বিদেশে দুবাই নগরীর কেন্দ্রস্থলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশী মুসলিম জনকল্যাণ সংস্থা’ (স্থাপিত ১৯৮৯ ইং) নামে একটি ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমূলক সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতার ভূমিকা পালন করেন। আর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংস্থাটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
বায়‘আত গ্রহণ
উপমহাদেশের প্রখ্যাত ও কামিল ওলী, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ ইত্যাদির লক্ষ লক্ষ মুসলমানের আধ্যাত্মিক পেশোয়া (পথ-নির্দেশক) হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ সাহেব রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি’র হাতে বায়‘আতের সুন্নাত পালন করেন বিগত ১৯৭৬ ইংরেজীতে। আপন মুর্শিদে বরহক্বের আধ্যাত্মিক নির্দেশনা ও দো‘আ তাঁর জীবনের অন্যতম পথ-নির্দেশক ও পাথেয় বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
সম্মাননা
গুণীজন হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্তি তাঁর কর্মজীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান আ‘লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি কৃত ‘কানযুল ঈমান’-এর সাথে সংযোজিত দু’টি তাফসীর ‘খাযাইনুল ইরফান’ ও ‘নূরুল ইরফান’- এবং এর বঙ্গানুবাদসহ বহুমুখী খিদমতের নিরিখে তিনি নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে সম্মাননা লাভ করেনঃ
১. আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ) ১৯৯৫ ইং।
২. ড. মোহাম্মদ রশিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ১৯৯৫ ইং ‘সাইয়্যেদুল মুতারজিমীন’ [খেতাব]।
৩. রেযা ইসলামিক একাডেমী, বাংলাদেশঃ ২০০৪ ইং।
৪. আ‘লা হযরত ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশঃ ২০০৫ ইং
৫. বরকাতী ফাউণ্ডেশন (দুবাই-ভারত)-এর পক্ষে ইসলামিক সেন্টার, দিনাজপুর থেকে ২০০৭ ইংরেজী স্বর্ণপদক লাভ।
৬. হালিম-লিয়াকত স্মৃতি সংসদ-রাউজান হলদিয়া জোনঃ ২০০৮ ইংরেজী।
৭. মেট্রোপোল স্কলারশীপ পরিষদ, চট্টগ্রামঃ ২০০৮ ইং
৮. ‘তাহক্বীক্বাত-ই ইমাম আহমদ রেযা ইন্টারন্যাশনাল, করাচী, পাকিস্তান’ থেকে ২০০৯ ইংরেজীতে স্বর্ণপদক লাভ। [উল্লেখ্য, বৃহত্তর চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত সর্বপ্রথম ও একমাত্র পবিত্র ক্বোরআনের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ ও তাফসীর লিখে প্রকাশ করেছেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান।]
হাদীস শরীফ
পবিত্র ক্বোরআনের পর হাদীস শরীফের একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা সুন্নী মতাদর্শের ভিত্তিতে প্রকাশ করার চাহিদা দীর্ঘদিনের। এ চাহিদাও তিনি পূরণ করলেন প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থ ‘মিশকাত শরীফ’-এর প্রসিদ্ধ অনুবাদ ও ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘মিরআতুল মানাজীহ্ শরহে মিশকাতলু মাসাবীহ’র সরল বঙ্গানবুাদ করে প্রকাশ করার উদ্যোগও গ্রহণ করে। [সূত্র. মিরআতুল মানাজীহ্, ১ম খন্ড]
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট
প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগে তাঁর খেদমত
১. মাসিক তরজুমান-ই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত
২. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (আরবী) ১ম খণ্ড
৩. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (আরবী) ২য় খণ্ড
৪. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (আরবী) ৩য় খণ্ড
৫. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১ম পারা
৬. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ২য় পারা
৭. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ৩য় পারা
৮. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ৪র্থ পারা
৯. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ৫ম পারা
১০. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ৬ষ্ঠ পারা
১১. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ৭ম পারা
১২. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ৮ম পারা
১৩. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ৯ম পারা
১৪. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১০ম পারা
১৫. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১১ম পারা
১৬. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১২ম পারা
১৭. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১৩ম পারা
১৮. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১৪ম পারা
১৯. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১৫ম পারা
২০. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১৬ম পারা
২১. মাজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (বাংলা অনুবাদ) ১৭ম পারা
(৩০পারা পর্যন্ত অনুবাদ হয়েছে)
২২. শাজরা শরীফ
২৩. গাউসিয়া তারবিয়াতী নেসাব
২৪. যুগ জিজ্ঞাসা
২৫. শানে রিসালত
২৬. দরসে হাদীস
২৭. সহীহ নামায শিক্ষা
২৮. নজরে শরীয়ত
২৯. আওরাদে কাদেরিয়া
৩০. গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কী ও কেন?
৩১. মিলাদে সূয়ুতী: মিলাদ ক্বিয়ামের দলিল
৩২. নূরানী তাক্বরীর
৩৩. ইন্তেকালের পর জীবিত হলেন যারা
৩৪. হায়াতুল আম্বিয়া (আ.): ইমাম বায়হাক্বী (রাহ.)
৩৫. আহলে বায়তের ফযিলত
৩৬. হাযির-নাযির
৩৭. এরশাদাতে আ’লা হযরত
৩৮. নবীগণ সশরীরে জীবিত
৩৯. ওযীফা-ই গাউসিয়া
৪০. ছোটদের বড়পীর গাউসে পাক (রাদ্বি.)
৪১. রিসালাহ্-ই নূর
৪২. শবে বরাত
৪৩. দা’ওয়াত
৪৪. রহমতে আলম (দ.)
৪৫. হযরত আমিরে মু’আবিয়া (রাদ্বি.)
৪৬. সত্য সমাগত বাতিল অপসৃত
৪৭. চল্লিশ হাদীস
৪৮. দো’আ ও মুনাজাত
৪৯. ইজতিমার তোহ্ফা
৫০. আক্বাইদ ও মাসায়েল
৫১. ইখলাস
৫২. গাউসুল আ‘যম ও গিয়ারভী শরীফ
৫৩. অহংকার পতনের মূল
৫৪. খতমে নুবূয়ত ও ক্বাদিয়ানী ফির্ক্বা
৫৫. তান্যীহুর রহমান
৫৬. মৃত্যুদণ্ড
৫৭. হযরত পীরে বাঙ্গালের ভাষণ
৫৮. তাওবা ও ইস্তিগফার
৫৯. হালাল উপার্জন
৬০. জুমু‘আর একশত এক বৈশিষ্ট্য
৬১. ফযীলতপূর্ণ রজনীসমূহ
৬২. শাফা‘আত-ই মোস্তফা
৬৩. নাম রাখার বিধান
৬৪. মাহে রমযানুল মুবারকে ঐতিহাসিক দিবসসমূহের স্মরণ
৬৫. দুরূদ-ই তাজ
৬৬. চল্লিশ হাদিসের আলোকে বরকতময় রমযান
৬৭. ইসলামের দৃষ্টিতে পানাহারের আদাব
৬৮. মাতা-পিতা এবং সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য
৬৯. নূরের আবির্ভাব ও তীরোধান।
আরো বহু গ্রন্থ প্রকাশনার পথে।
[সূত্র. আনজুমান ট্রাস্ট প্রকাশনা বিভাগ]