পল্লিছোঁয়া
– মুহাম্মদ আবদুল করিম
--------------------------------------
কারো বদন পরে মিশে থাকে যদি
নিখুঁত পল্লির ধুলোবালি,
তবে গায়ের পরতে ঝলমলচ্ছলে
দেখবে রূপের মিতালি।
লাঙ্গল–জোয়ালে, গরুর পালে
যদি করে মাঠে চাষ,
জাগবে মনে, গ্যাঁয়ো জমি ফলনে
খেটে খাওয়ার অভিলাষ।
খোলাকাশ নিচে, খাটুনির পিছে
কাটে যদি কারো দিন,
মরণে তার, সদাহাস্যের রূপাধার
মুখ হবেনা তার মলিন।
পল্লির পথপানে; জীবিকার টানে
যদি ঝরে কারো ঘাম,
মুক্তোদানার; মতো দর হাঁকে যার
সমমূল্য তার দাম।
চোখমুখে; উত্তরীয়–দখিনা ফুঁকে
লাগলে গাঁয়ের বাতাস,
বকুল; জুঁই জবা রজনীগন্ধা ফুল
সুবাস ছড়ায় তার পাশ।
কারো মুখে যদি; পল্লির রসা–দধি
ফোটে উঠে বুলি,
গভীর আবেগ ঝরে, তার কথা ধরে
ভাষায় শিল্পীর তুলি।
গাঁয়ের আহারে, যে জন খেলা করে
সে জনে থাকেনা রোগ,
সতেজ–নির্ভেজাল, সুস্থ দিনকাল
বাড়ে রোগ প্রতিরোধ।
পল্লির জীবন; যেখানে জন্ম–মরণ
ভুলে যাওয়া বড় দায়,
শ্যামল–স্নিগ্ধ; কতো মমতায় মুগ্ধ
আমি প্ললিতে অসহায়!