Join Telegram for More Books
(toc)
برُّ الْوَالِدَيْنِ او حقوق الْوَالِدَيْنِ او الْإِحْسَانُ بِالْوَالِدَيْنِ او إِطَاعَةُ الْوَالِدَيْنِ او خِدمَةُ الْوَالِدَيْنِ او وَاجِبُكَ إِلَى الْوَالِدَينِ
التَّقْدِيمُ :
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى فَرَضَ عَلَيْنَا الْإِحْسَانَ بِالْوَالِدَيْنِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى النَّبِي الَّذِي اهْتَمَّ بِاطَاعَةِ الْوَالِدَيْنِ وَعَلَى الِهِ وَأَصْحَابِهِ اجْمَعِيْنَ
مَعْنَى بِرِّ الْوَالِدَيْنِ :
مَعْنَى الْبِرِّ لُغَةً : الْإِحْسَانُ وَالْإِطَاعَةُ وَحُسْنُ السلوك والوَالِدَيْنِ هُمَا الأب والأم وفِي الاِصْطِلاح : بِرُّ الْوَالِدَيْنِ عِبَارَةُ عَنْ إِطَاعَةِ الْآبِ وَالْاَمِ وَالْإِحْسَانُ بِهِمَا وَاحْتِرَامُهُمَا وَادَاهُ حُقُوقِهِمَا وَحَسنُ الْمُعَامَلَة وَالْمُعَاشَرَةِ مَعَهُما .
سبب برِ الْوَالِدَيْنِ :
الْوَالِدَانِ هُمَا اَشْفَقَ النَّاسِ وَارْحَمُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ حُبًّا لأولادهم. يَتَحَمَلَانِ جَمِيعَ المَشَقَاتِ َوانْوَاعَ الْآلَامِ وَالْأُم تَذُوقُ الشَدَائِدَ فِي حَبْلِهِمْ ثُمَّ تَرْضَعُهُمْ حَولَيْنِ كَامِلَيْنِ، وَكُمْ مِنْ لَيَالٍ تَبِيَتْ سَاهِرَةً لشدّةِ أَلَمِ الْحَمْلِ وَمَرَضِ الأولاد. وإِذَا اَوْجَبَ اللهُ تَعَالَى عَلَى الْأَوْلادِ بر الْوَالِدَيْنِ وَإِطَاعَتَهُمَا.
أهمية برِّ الْوَالِدَينِ :
برَ الْوَالِدَيْنِ واجِب عَلَى كُلِ إِنْسَانٍ، وَهُوَ أَمْرُ مُهم. لهذا أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِيرَ الوَالِدَيْنِ فِى قَوْلِهِ : وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا". وقال تعالى : "وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أَفٍ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا. وَاهْتَمَّ الرَّسُولُ ﷺ اِهْتِمَامًا بالغًا بِخِدمَةِ الْوَالِدَيْنِ وَإِطَاعَتَهُمَا فَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ يَا رَسُولُ اللهِ مَنْ اَحَقُّ بِحُسنِ صَحَابَتِي؟ قَالَ : أمُّكَ، قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : أَمُّكَ. قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : أَمكَ، قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : أَبُوكَ. وَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : رِضَا الرَّبِّ فِي رِضًا الْوَالِدَيْنِ وَسَخَط الرَّبِّ فِي سَخَطَ الْوَالِدَيْنِ".
وَاجِبَاتُ الْأَولادِ نَحْوَ الْوَالِدَيْنِ :
أَوْجَبَ اللهُ تَعَالَى عَلَى الْأَوْلَادِ إِطَاعَةَ الْوَالِدَيْنِ وَالْإِحْسَانُ بِهِمَا وَالشَّفْقَةُ إِلَيْهِمَا خَاصَّةٌ فِي كَبَرٍ سَيِّهِمَا وَاخْتِرَامُهُمَا وَالدُّعَاهُ لَهُمَا بَعْدَ مَوْتِهِمَا كَمَا قَالَ تَعَالَى وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيْنِي صَغِيرًا. وقال فى آيةٍ أُخْرَى : وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا
نتيجة بر الوالِدَيْنِ :
بِرُّ الْوَالِدَيْنِ أمْرَ مُهِمَّ لِكُلِّ نَاسٍ، لأنَّه وَسِيلَة النَّجَاةِ عَنْ عَذَابٍ جَهَنَّمَ وَوَسِيْلَهُ حُصُولِ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : الْجَنَّةُ تَحْتَ اقْدَامِ الأُمَّهَاتِ وَقَالَ أَيْضًا هُمَا جَنَّتُكَ اَوْ نَارُكَ".
الْخَاتِمَةُ :
يَجِبُ عَلَيْنَا أَنْ تُطِيعَهُمَا وَنَحْسِنُ بِهِمَا وَنَبْكُل أَمْوَالَنَا لِمَصْلِحَتِهما وتدعو الله تعالى لهما.
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার
উপস্থাপনা :
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের ওপর পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ফরয করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবী কারীম (ﷺ)- এর ওপর, যিনি পিতামাতার আনুগত্যের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। আর তাঁর পরিবার ও সকল সাহাবীর ওপর।
برُّلْ اوَالِدَيْن -এর অর্থ :
بر শব্দের আভিধানিক অর্থ- দয়া করা, আনুগত্য করা ও সুন্দর ব্যবহার করা। আর وَالِدَيْن হলো পিতামাতা। পরিভাষায় - برُّ الوَالِدَيْن হলো পিতামাতার আনুগত্য করা, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা, তাদের সম্মান করা এবং তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা ও তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের কারণ :
পিতামাতা তাদের সন্তানদের প্রতি সবচেয়ে স্নেহপরায়ণ, দয়াবান ও অধিক মমতাবান। তারা সকল কষ্ট ও বিভিন্ন যন্ত্রণা ভোগ করেন। মা তাদের গর্ভধারণে অনেক কষ্ট সহ্য করেন এবং পূর্ণ দু'বছর তাদেরকে দুধপান করান। তিনি গর্ভের কষ্ট ও সন্তানদের অসুস্থতার কারণে কত রাত জাগত কাটান! এজন্য আল্লাহ তায়ালা সন্তানদের উপর পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার ও তাদের আনুগত্য করা ওয়াজিব করেছেন।
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের গুরুত্ব:
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা প্রতিটি মানুষের ওপর আবশ্যক। আর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা তাঁর বাণীতে পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার আদেশ দিয়ে বলেন, “আর আমি মানুষকে উপদেশ দিয়েছি তার পিতামাতার প্রতি দয়া করার জন্য। তার মাতা তাকে কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছেন এবং কষ্ট করে প্রসব করেছেন। তার গর্ভ ও দুধ ছাড়ানোর সময় ত্রিশ মাস"।আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ করেন, “আর পিতামাতার প্রতি দয়া কর, তাদের একজন বা উভয়ে বার্ধক্যে পৌঁছলে তাদেরকে উফ শব্দও বলবে না। তাদের ধমক দিবে না এবং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলবে"।রাসূল (স) পিতামাতার সেবা ও আনুগত্যের প্রতি খুব গুরুত্ব প্রদান করেছেন। আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম সাহচর্য পাওয়ার সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত কে? রাসুল (স) বললেন, তোমার মা। তিনি বললেন, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। তিনি বললেন, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। তিনি বললেন, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার পিতা। রাসূল (স) আরও ইরশাদ করেন, “আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি পিতামাতার সন্তুষ্টির মাঝে এবং আল্লাহ তায়ালার অসন্ততি পিতামাতার অসন্তুষ্টির মাঝে নিহিত রয়েছে"।
পিতামাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য :
আল্লাহ তায়ালা সন্তানদের ওপর পিতামাতার আনুগত্য ও তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা ওয়াজিব করেছেন। বিশেষত বার্ধক্যে তাদের প্রতি মমতাপূর্ণ আচরণ করা, তাদের সম্মান করা ও মৃত্যুর পর তাদের জন্য দোয়া করা। যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “আর বলুন হে রব! তুমি তাদের প্রতি দয়া কর, যেমনিভাবে তারা আমার শৈশবে আমাকে লালনপালন করেছেন"। তিনি অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন, “আপনার রব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, তোমরা শুধু তারই ইবাদত করবে এবং পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে"।
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের ফলাফল:
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা এটা জাহান্নামের শান্তি হতে মুক্তি লাভ ও জান্নাত লাভের মাধ্যম। রাসূল (স) ইরশাদ করেন, “মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত"। তিনি আরও বলেছেন, "পিতামাতা হয়তো তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।
উপসংহার :
আমাদের কর্তব্য হলো পিতামাতার আনুগত্য করা, তাঁদের প্রতি অনুগ্রহ করা, তাঁদের আদেশ নিষেধ মেনে চলা। তাঁদের কল্যাণে সম্পদ ব্যয় করা ও তাঁদের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা।