أَهَمِّيَّةُ اللُّغَةِ العربية
الافتِتَاحُ :
إِنَّ اللَّغَةَ الْعَرَبِيَّةَ مِنْ اَشْهَرِ لُغَاتِ الْعَالَمِ، وَهِيَ لُغَةٌ رَابِعَةُ للأُمَمِ الْمُتَّحِدَةِ، وَنَزَلَ الْقُرْآنُ الْكَرِيمُ بِهَذِهِ اللُّغَةِ فَاهَمِيَّتُهَا وَاضِحَةُ.
تعريف اللُّغة العربية :
اللُّغة العربية هِيَ لُغَةٌ أَهْلِ الْعَرَبِ الَّتِي تَعْرِيفُ الْعَرَبِيَّةِ الْعَرَبِيَّةُ يَتَكَلَّمُونَ بِهَا وَهِيَ إِحْدَى اللُّغَاتِ السَّامِيَةِ وَأَرِقَاهَا وَهِيَ لُغَةٌ حَيَّةٌ قَوِيَّةٌ وَهِيَ لُغَةُ كِتَابِ الْمُسْلِمِينَ الْخَالِدِ الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ.
اهميَّةُ اللُّغَةِ الْعَرَبِيّةِ :
إِنَّ اللُّغَةَ الْعَرَبِيَّةَ هِي مِنْ أَسْمَى لُغَاتِ الْعَالَمِ وَهِيَ تَمْتَازُ بِخَصَائِصَ وَمُمَيَّزَاتٍ وَتَرْجِعُ أَهْمِيَّتُهَا إِلَى أَسْبَابٍ، وَهِيَ :
١- لُغَةُ الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ : كُتُبُ لَهَا الْخُلُودُ بِسَبَبٍ نُزُولِ الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ باللغة الْعَرَبِيَّةِ كَمَا قَالَ اللهُ تَعَالَى : "نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ عَلَى قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنْذِرِينَ بِلِسَانِ عَرَبِي مُّبِينٍ" -
٢ - لُغَةُ الصَّلَاةِ : يَقْرَأُ كُلُّ مُسْلِمٍ فِي صَلَاتِهِ الْقُرْآنَ الْكَرِيمَ. وَقَدْ أَمَرَ الله تَعَالَى بِقِرَاءَتِهِ فِي الصَّلَاةِ حَيْثُ قَالَ : فَاقْرَؤُوا مَا تَيَسَّرَ مِن الْقُرْآنِ. فَقِرَاءَتُهُ وَتَسْبِيحَاتُهُ وَتَكْبِيرَاتُهُ وَأَدْعِيَّتُهُ فِي الصَّلَاةِ تَكُونَ بالعربية -
3 - لُغَةٌ الْحَدِيثِ الشَّرِيفِ : الْحَدِيثُ هُوَ الْأَصْل الثاني من أصول الدِّينِ. وَالنَّبِيُّ مُحَمَّدُ كَانَ لِسَانُهُ عَرَبِيًّا. قَالَ النَّبِيُّ ﷺ عَنْ نقيب : أَنَا أَفْصَحُ الْعَرَبِ بِيَدِ أَنِّي مِنْ قُرَيْشٍ -
٤ - لُغَةُ الدِّينِ: إِنَّ اللغة العربية لُغَةُ الْإِسْلَامِ وَالْمُسْلِمِينَ فِي جَمِيمِ بقاع الْأَرْضِ. وَبِهَا يُؤْتِي الْمُسْلِمُونَ صَلَاتَهُمْ وَيَتْلُونَ كِتَابَ رَبِّهِمْ وَيَقْرَؤُونَ أَحَادِيثَ نَبِيِّهِمْ وَيُلَبُونَ فِي حَجِهِمْ وَيَتَضَرَّعُونَ فِي دُعَائِهِمْ -
ه - لغة العلوم والثَّقَافَاتِ : إِنَّ اللُّعَة الْعَرَبِيَّةَ فِي رِمَاهُ الْحَضَارَاتِ والثقامَاتِ وَالْآدَابِ وَالْعُنُونِ حَيْدُ تَحْمِلُ لِلْإِنْسَانِيَّةِ مِنْ تُراث ثَقَافِيَ كَبِيرٍ -
٦ - لُغَةُ الْعَالَمِ الْمُعَاصِرِ : أَخَذَتِ الْعَرَبِيَّةُ مَكَانَتَهَا بَيْنَ لُغَاتِ الْعَالَمِ الْمُعَاصِرِ، وَاعْتَرَفَ بِهَا لُغَةٌ رَسْمِيَّةً تَسْتَخْدِمُ فِي الْهَيْئَةِ العَامَّة للأمم الْمُتَّحِدَةِ وَفِي مُنَظَمَاتِهَا -
الاخْتِتَامُ :
إِنَّ اللُّغَةَ الْعَرَبِيَّةَ هِيَ لُغَةُ الْمُسْلِمِينَ كَمَا هِيَ لُغَةُ الْعَرَبِ. لأَنَّ الْقُرْآنَ نَزَلَ بِهذِهِ اللُّغَةِ، فَالْوَاجِبُ عَلَيْنَا أَنْ نَتَعَلَّمَ الْعَرَبِيَّة جيّدًا -
আরবি ভাষার গুরুত্ব
উপস্থাপনা :
আরবি ভাষা বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ ভাষা। এটি জাতিসংঘের চতুর্থ ভাষা। কুরআন এ ভাষায় নাযিল হয়েছে। কাজেই এটির গুরুত্ব সুস্পষ্ট।আরবি ভাষার পরিচয় :
আরবি ভাষা হলো আরবের অধিবাসীদের ভাষা, যা দ্বারা তারা কথা বলে থাকে। এটি একটি সেমিটিক ও সেগুলোর মধ্যে অগ্রসর ভাষা। এটি শক্তিশালী জীবন্ত ভাষা। এটি মুসলমানদের চিরন্তন গ্রন্থ কুরআনুল কারীমের ভাষা।আরবি ভাষার গুরুত্ব :
আরবি ভাষা পৃথিবীর সর্বোন্নত ভাষা। এ ভাষা কতিপয় বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলিতে অনন্য। এ ভাষার গুরুত্বের কতিপয় কারণ রয়েছে। তা হলো-১. কুরআনের ভাষা কুরআনুল কারীম আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হওয়ায় এ ভাষার জন্য চিরন্তনতা অবধারিত হয়ে গেছে। যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- "রুহুল আমীন (জিবরাঈল) এটি নিয়ে আপনার অন্তরে অবতরণ করেছেন, যেন আপনি সতর্ককারী হন; সুস্পষ্ট আরবি ভাষায়"।
২. সালাতের ভাষা : প্রত্যেক মুসলমান তার সালাতে কুরআনুল কারীম পাঠ করে। আল্লাহ তায়ালা সালাতে তা পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা কুরআনের সহজ অংশ পাঠ কর"। সুতরাং সালাতে মুসলমানের কেরাত, তাসবীহ, তাকবীর ও দোয়া আরবি ভাষায় হয়।
৩. হাদীস শরীফের ভাষা : হাদীস দ্বীনের দ্বিতীয় উৎস। নবী মুহাম্মদ (স)-এর ভাষা ছিল আরবি। নবী কারীম (স) তার নিজের সম্পর্কে বলেন, আমি বিশুদ্ধ আরবিভাষী; এছাড়া আমি কুরাইশীও।
৪. দ্বীনের ভাষা আরবি ভাষা ইসলাম ও পৃথিবীর সকল অঞ্চলের মুসলমানদের ভাষা। মুসলমানগণ এ ভাষায় তাদের সালাত আদায় করেন, তাদের রবের কিতাব তেলাওয়াত করেন এবং তাদের নবীর হাদীস পাঠ করেন। তাদের হজ্জের তালবিয়া পড়েন এবং দোয়ায় মিনতি করেন।
৫. জ্ঞান ও সংস্কৃতির ভাষা : আরবি ভাষা সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিষ্টাচার ও শিল্পকলার আধার। এটা মানবতার জন্য বিরাট সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহন করে।
৬. এটা সমকালীন বিশ্বের ভাষা : আরবি ভাষা সমকালীন বিশ্বের ভাষাসমূহের মাঝে তার স্থান দখল করেছে। আর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এবং তার সংস্থাসমূহের ব্যবহারে আরবি দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।