সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা
অবস্থান:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি এদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ থানার অন্তর্গত সাত নাম্বার ওয়ার্ড পশ্চিম ষোলশহরের ঐতিহ্যবাহী নাযিরপাড়া এলাকায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অবস্থান। মাদরাসার ত্রিতল ভবনের মধ্যখানে আকর্ষনীয় সবুজ গম্বুজ ইসলামি জ্ঞান বিজ্ঞানের মহা স্মারক হয়ে দাড়িয়ে আছে।
প্রতিষ্ঠাতা:
উপমহাদেশের অন্যতম মুসলিম দেশ পাকিস্তান। এদেশের উত্তম-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের হরিপুর জিলার ঐতিহ্যবাহী সিরিকোট গ্রামের অধ্যাত্নিক ব্যক্তিত্ব কুতবুল ইরশাদ হযরতুলহাজ্ব আল্লামাহ হাফিয ক্বারি সাইয়্যিদ আহমদ শাহ (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে প্রতিষ্ঠার দু’ বছর পর ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পাঠদানের কার্যক্রম আরম্ভ হয়।
প্রতিষ্ঠার পেক্ষাপট :
প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রেম-ভালোবাসা যাদের অন্তরে নেই সে অন্তর নির্জীব ও নিষ্প্রাণ। আল্লামাহ হাফিয সাইয়্যিদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ভাবলেন, এদেশের মানুষদের রাসূলার্দশে উজ্জীবিত করতে হবে। বাংলার ঘরে ঘরে দুরূদ- সালামের বাণী পৌঁছাতে হবে। তিনি আরো চিন্তা করলেন, এদেশের মুসলিম জনতাকে কুর'আন-হাদিসের প্রকৃত শিক্ষা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পথ ও মতে প্রতিষ্ঠিত ছাড়া কোন বিকল্প নেই। অতঃপর তাঁর মুরিদদের দ্বীনী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের হুকুম দেন এ বলে, এমন স্থান নির্বাচন কর যা শহরও হবে না গ্রামও হবে না। যেখানে পুকুরও থাকবে এবং মসজিদও থাকবে।
নিজ পীরের আদেশ বাস্তবায়নের মহা প্রয়াসে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ স্থান নির্বাচনে যারপরনাই তৎপর হয়ে উঠলেন। অনেক অনুসন্ধানের পর হুযুরের বিশিষ্ট মুরীদ নাযিরপাড়া নিবাসী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সওদাগর (বর্তমান সেক্রেটারী জেনারেলে আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনওয়ার হোসেন এর পিতা) হুযুরকে নিয়ে বর্তমান জামেয়া সংলগ্ন মসজিদের নিকট আসেন। সিরিকোটি শাহ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) জায়গাটি দেখা মাত্রই মুচকি হাসি দিয়ে সন্তুষ্টচিত্তে বললেন- "হ্যাঁ এহি হে, ইসছে ইলমকি খুশবো আরোহিহে" অর্থাৎ এটিই আমাকে দেখানো হয়েছে, এখান থেকে ইলমের সুঘ্রাণ আসছে। হুযুরের অভিব্যক্তি দেখে উপস্থিত মুরিদগণ বুঝতে পারলেন, এ জায়গাটিই তাঁর পরম কাঙ্খিত। আর এখানেই মাদরাসার ভিত্তি হতে হবে। তাঁর পরম স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো। তাঁরই পবিত্র হাতে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার ভিত্তি স্থাপিত হলো বার আউলিয়ার পূণ্যভূমিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ধারক-বাহক ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা নিকেতন। এ জামেয়া আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াতের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হলো।
মাদ্ররাসার নামকরণ :
জামেয়ার ভিত্তি স্থাপন ও নির্মাণ কাজ শুরু হয় ‘মাদরাসা আহমদিয়া সুন্নিয়া’ নামে। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা মহান সাধক হযরত সাইয়িদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাদরাসার সুদূর ভবিষ্যত পরিকল্পনা সামনে রেখে পূর্ব নামের সাথে জামেয়া শব্দটি সংযোজন করেন। তাই মাদরাসা আহমদিয়া সুন্নিয়া পরিবর্তন করে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া রাখা হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি তারিখে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং নতুন নামেই ২১ মার্চ ১৯৫৬ তারিখে মাদরাসার প্রথম বার্ষিক সভা (সালানা জলসা) অনুষ্ঠিত হয়।
পৃষ্ঠপোষকতা :
জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা কুবুল ইরশাদ আলি রাসূল আল্লামাহ সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে মাওলায়ে হাকিকির সান্নিধ্য লাভ করায় তখন থেকে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ৩২ বছর প্রধান পৃষ্টপোষক হিসাবে মহান দায়িত্ব পালন করেন তাঁরই যোগ্যতর সাহিবযাদা রাহনুমায়ে শরিআত ও তারিকাত হাদিয়ে দ্বিনোমিল্লাত আল্লামা হাফিয সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রধান পৃষ্টপোষক মুরশিদে বরহক রাহমুনায়ে শরিআত ও তারিকাত হাদিয়ে দ্বিনোমিল্লাত আল্লামাহ্ সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর ওফাতবরণ করলে পৃষ্টপোষকতার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরই প্রধান সাহিবযাদাহ রাহনুমায়ে শরিআত 'আলামবারদারে আহলে সুন্নাত আলে রাসূল হযরাতুল আল্লামাহ্ সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ মুদ্দাযিল্লুহুল আলি এবং দ্বিতীয় সাহিবযাদাহ পীরে বাঙ্গাল হযরাতুল আল্লামাহ সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ মুদ্দাযিল্লুহুল আলি।
একাডেমিক ভবন
আনুষ্ঠানিক পাঠদান :
জামেয়া ১৯৫৪ খৃস্টাব্দে কামিল সিদ্ধ পুরুষ সাইয়্যিদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর সিদ্ধ হস্তে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৫৬ খৃস্টাব্দে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান শুরু হয়। তদানীন্তন জামেয়াই একমাত্র দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; যেটি ইবতিদায়ী ১ম শ্রেণি হতে ফাযিল শ্রেণি (উলা- বর্তমান ডিগ্রি) পর্যন্ত একসাথে ক্লাসভিত্তিক পাঠদান শুরু হয়। স্বল্প সময়ে জামেয়ার পড়ালেখার মানোন্নয়ন বিবেচনা করে তদানীন্তন ইষ্ট পাকিস্তান মাদ্রাসা বোর্ড জামেয়াকে ১৯৬২ খ্রি. সনে সরকারীভাবে ফাযিল মানের স্বীকৃতি ঘোষণা করে। ধারাবাহিক উন্নতি সাধনের ফলে এ মাদরাসা ১৯৭২ সালে কামিল হাদিস, ১৯৮৫ সালে কামিল ফিকহ এবং ১৯৯৬ কামিল তাফসীর বিভাগরে অনুমোদন লাভ করে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের পরিকল্পনা হাতে নিলে ২০১০ সালে ৩১টি আলিয়া মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু করলে জামেয়াও অনার্স কোর্স চালু করার অনুমতি লাভ করে। ২০১২ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া কর্তৃক অনার্স পরীক্ষার কেন্দ্রের মর্যাদা লাভ করে এবং ২০১৭ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কামিল মাস্টার্স এর মর্যাদা লাভ করে।
শিক্ষার স্তর :
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ায় বর্তমানে ইসলামী শিক্ষার ছয়টি স্তর চালু আছে। যথা : ১. ইবত্তিদায়ি স্তর, ২. মাধ্যমিক স্তর, ৩. উচ্চ-মাধ্যমিক স্তর, ৪. ফাযিল স্নাতক স্তর, ৫. ফাযিল স্নাতক (অনার্স) স্তর ও ৬. কামিল (স্নাতকোত্তর) এবং কামিল মাস্টার্স স্তর।
শিক্ষার পরিবেশ :
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ায় সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত ও শান্ত পরিবেশে শ্রেনির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশের হরতাল-ধর্মঘটের সময়ও মাদ্রাসার ক্লাস যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ মহোদয় ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় ইবতিদায়ি স্তর থেকে অনার্স এবং কামিল হাদীস, ফিকহ ও তাফসীর পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
এ্যাসেম্বলীতে উপস্থিত শিক্ষার্থী
ছাত্র ইউনিফর্ম :
পোষাক তথা লিবাস মানুষের সৌন্দর্য বর্ধক। জামেয়া কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম হিসেবে নির্ধারণ করেন সাদা পায়যামা, সাদা পাঞ্জাবী ও সাদা টুপি। নির্ধারিত এ পোষাক পরিধান করা সর্বস্তর ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূল। দৃষ্টিনন্দিত সাদা পোষাক নির্বাচন সত্যিই প্রশংসনীয়। কারণ এ পোষাক প্রিয় নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)'র পছন্দনীয় পোষাকের অন্যতম। তিনি ইরশাদ করেন, 'তোমরা সাদা পোষাক পরিধান কর কেননা এটি অতিপবিত্র ও অধিক পছন্দনীয়।
তাখাসসুস বা বিশেষ ক্লাস :
বোর্ড কর্তৃক ফাযিল ও কামিল ক্লাসের নেসাব (পাঠ্যক্রম) ব্যাপক হওয়ায় নির্দিষ্ট মেয়াদে সমাপ্ত করা সম্ভবপর হয় না। তাই জামেয়ার শিক্ষার্থীদের মৌলিক কিতাবাদীর পাঠদান এবং দ্বীনী শিক্ষার ব্যুৎপত্তি লাভের মানসে প্রথম পৃষ্ঠপোষক আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে সকাল ৮-৯ পর্যন্ত আর 'ঈশার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাখাসসুস নামক বিশেষ ক্লাস করার নির্দেশ দেন। ওই সময় থেকে 'আলিম, ফাযিল এবং কামিল (হাদিস, ফিকহ, ও তাফসির) ক্লাসসমূহের মৌলিক কিতাবসমূহ অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী আন্তরিকতা সহকারে পাঠদান করে আসছেন। বিশেষ করে কামিল (হাদিস) বিভাগের বুখারি শরিফ এবং কামিল (ফিক্হ) বিভাগের আল আশবাহ ওয়া নাযায়ির কিতাবয় আদ্যোপান্ত পাঠদান করতে প্রানান্তকর চেষ্টায় থাকেন ছাত্র-শিক্ষক। জানা যায়, কামিল হাদিস ৩য় ব্যাচার শিক্ষার্থীদের দিয়ে বুখারি শরিফের ত্রিশ পারা খতম সর্বপ্রথম সূচনা করেন জামেয়ার প্রথিতযশা মুহাদ্দিস আল্লামাহ আব্দুল হামিদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) এবং আল আশবাহ্ ওয়ান নাযায়ির সর্বপ্রথম সূচনা করেন- ফিক্হ বিভাগের অধ্যাপক স্বনামধন্য মুফতি (সাবেক অধ্যক্ষ) শিক্ষাগুরু হযরত আল্লামাহ্ সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান। পাশাপাশি তাখাসসুস ক্লাসে নিয়োজিত ছিলেন- শায়খুল হাদিস মুফতি মুহাম্মদ ওবাঈদুল হক নাঈমী (রহঃ), বর্তমানে অধ্যাপক মুফতি কাযি আল্লামা মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজিদ, শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফিয মুহাম্মদ সোলায়মান আনুসারী, তাফসির বিভাগের প্রধান মুফাসসির কাযি আল্লামাহ মোহাম্মদ সালিকুর রহমান, আরবি প্রভাষক হাফিয মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি, হাফিয মাওলানা সাইয়্যিদ মুহাম্মদ আযিযুর রহমান এবং প্রভাষক (আল কুরআন এ- ইসলামিক স্টাডিজ) মাওলানা মুহাম্মদ রবিউল আলম।
ছাত্রাবাস ও আবাসন সুবিধা :
সুন্দর ও পরিমার্জিত আবাসন সুপরিকল্পিত লেখা পড়ার পূর্বশত। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ায় দেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়াসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা ইসলামী জ্ঞানার্জন করে যাচ্ছে। তাদের থাকা-খাওয়াসহ সার্বিক সুবিধা দেয়ার নিমিত্তে জামেয়া কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করেছে মানসমৃদ্ধ ছাত্রাবাস। ইসলামের মহামনীষী চারজন খুলাফা-ই রাশিদার নামে চারটি আবাসিক হল রয়েছে। (ক) হযরত সিদ্দীক-ই আকবার (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) হল, (খ) হযরত ফরুক-ই আযম (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) হল, (গ) হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) হল, (ঘ) হযরত আলী মুরতাযা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) হল। আবাসিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন উপাধ্যক্ষ ড. আবূ তৈয়্যব মুহাম্মদ লিয়াকত আলি। সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত আছেন সহকারী অধ্যাপক (আরবি) আবু তাহের মুহাম্মদ নুরূল আলম (প্রধান), ইসলামি ইতিহাসের অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াছ (সহকারী), মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনওয়ার, মাস্টার মুহাম্মদ শাহ আলম এবং মাস্টার মুহাম্মদ আশিকু যামান।
পরিচ্ছন্ন ডাইনিং হল :
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার হোস্টেল ভবনের নিচে ডাইনিং হলের অবস্থান। হলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, রক্ষণা-বেক্ষণা ও রান্না কাজে নিয়োজিত আছে অভিজ্ঞ ডজন খানেক বাবুর্চি, ক্লিনার ও পরিচ্ছন্ন কর্মী। হাজারোধিক শিক্ষার্থী একই সাথে সুশৃংখলভাবে বসে খাবার গ্রহণ করতে যাবতীয় ব্যাবস্থা রয়েছে। বিশাল ডাইনিং হলে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আলাদা ডাইনিং টেবিল ও স্বতন্ত্র ব্যাবস্থাপনা। আবার প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক আলাদা টেবিল ও ব্যঞ্চের ব্যবস্থা রয়েছে।
পাঠ্যক্রম ও সিলেবাস:
যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়া লেখার বস্তুনিষ্ঠ, অগ্রগতি ও উন্নতির পূর্বশর্ত পরিকল্পিত, মানসম্মত, গুণগত পাঠ্যক্রম এবং সিলেবাস। জামেয়া কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ'র পরিবেশিত ও প্রকাশিত পাঠ্যক্রম ও সিলেবাস'র পূর্ণ অনুসরণ করে। তবে সত্যিকার দ্বীনি 'আলিম গঠন এবং ইসলামী মৌলিক জ্ঞান লাভের মহা অভিপ্রায়ে সরকারি সিলেবাস (মাদরাসা বোর্ড ও ই.আ.বি) ব্যতীত অতিরিক্ত মৌলিক বিষয়াদি কিতাবও সিলেবাস করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আরবি ব্যাকরণ, উসূল, বালাগত, 'আক্বিদাহ, 'আমাল ও আদর্শবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও পাঠ্যক্রমে সংযোজন করা হয়েছে।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড:
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার কর্তৃপক্ষ ইসলামি শরি'আতের অর্জিত জ্ঞান ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা হাতে নেয়। একজন শিক্ষার্থী তাঁর অর্জিত জ্ঞান সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দেয়ার জন্য তাকে গঠন করতে চায় একজন আদর্শিক বক্তা, দক্ষ উপাস্থাপক ও অনুসরণীয় আলোচক। তাই শিক্ষার্থীদের মনন ও মেধায় সংস্কৃতিভাব সৃজন করার জন্য জামেয়া কর্তৃপক্ষ প্রবর্তন করেছে এক সাপ্তাহিক বিতর্ক অনুষ্ঠান। প্রত্যেক বৃহস্পতিবার চতুর্থ ঘন্টার পর সিনিয়র অভিজ্ঞ দু জন শিক্ষক কর্তৃক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এ বিতর্ক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী শরীয়তের মৌলিক বিষয়, প্রিয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহবা কিরাম ও আউলিয়া ইযামের পবিত্র জীবনী এবং বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয়কে বির্তকের আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়। জামেয়ার প্রধান পৃষ্টপোষক রাহমুনায়ে শরি'আত ও তারিকাত আল্লামা সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ তাইয়্যিব শাহ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বাংলাদেশে সফরকালে এ বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন এবং বর্তমান পৃষ্টপোষক আল্লামা সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ তাহির শাহ (মুদ্দাফিল্লাহুল আলি) স্বতস্ফুর্তভাবে এতে শরীক হন। একজন শিক্ষার্থী তার কথা ও বক্তব্যে সৃজনশীলতা ও নিপুণতা সৃষ্টির পেছনে এ অনুষ্ঠানটি কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
জ্ঞানমূলক বিতর্ক অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের যে কোন জ্ঞানে ব্যুৎপত্তি অর্জনে দারুণ সহায়ক। জামিয়ার শিক্ষার্থীদের স্ব উদ্যোগে শিক্ষকদের সহযোগিতায় জ্ঞানমূলক প্রতিযোগিতার আসর ব্যবস্থা করে তাদের মধ্যে সংস্কৃতি মনোভাব জাগিয়ে তোলে। এ আসরের বিষয় বস্তুর অন্তর্ভূক্ত থাকে নাহু, সরফ, আরাবি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলা- ইংরেজি ব্যাকরণ এবং আন্তর্জাতিক ও ধর্মীয়বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর দু'দলে বিভক্ত হয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে।
আইসিটি ল্যাব
জামেয়ার সাহিত্যমোদী মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর বিদায়ী স্মারক বা ম্যাগাজিন, পত্র-পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে। পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবি সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে বিশেষ দেয়ালিকা, ইসলামী ম্যাগাজিন, পোস্টার, ব্যানার-ফ্যাস্টুন এবং জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা বা তরীকতের প্রখ্যাত মনীষীগণের জীবনী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ সম্বলিত নতুন আঙ্গিকে মানসম্মত সাময়িকী ও বার্ষিকী প্রকাশ করে।
পরিচালনা পর্ষদ :
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফলতা ও সার্থকতা জড়িয়ে থাকে দক্ষ পরিচালনা পর্ষদের উপর। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে জামেয়া পরিচালিত হয়ে আসছে সরকারী বিধি মোতাবেক গঠিত একটি শক্তিশালী পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে। যুগে যুগে গঠিত আত্মোৎসর্গিত পরিচালনা পর্ষদের অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে জামেয়ার সুনাম আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা ইসলামি বিশ্বে। সরকার অনুমোদিত একটি যোগ্য, দক্ষ, কর্মঠ ও আত্মনিবেদিত পরিচালনা পর্ষদের সুনিপুণ ব্যবস্থায় বর্তমানে জামিয়া পরিচালিত হচ্ছে।
মাদরাসার চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারীবৃন্দ :
ইসলামি তাহযিব-তমুদ্দুনের ব্যাপক প্রচার প্রসারে জামেয়ার যে ভিত্তি স্থাপিত - হয়েছিল তার সদূর প্রসারী কর্মসূচীকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একদল আত্নত্যাগী ও শিক্ষানুরাগী পরিচালনার শুরু দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তাঁদের পরিচিতি ও কার্যকাল নিম্নরূপ
চেয়ারম্যনবৃন্দঃ
ক্রম | নাম | কার্যকাল |
---|---|---|
১ | আলহাজ্ব জয়নুল আবিদীন চৌধুরী | ১৯৫৪ খ্রি. থেকে ১৯৮৩ খ্রি. পর্যন্ত। |
২ | আলহাজ্ব আবু মোহাম্মদ তবিবুল আলম | ১৯৮৩ খ্রি. থেকে ১৯৯২ খ্রি. পর্যন্ত। |
৩ | আলহাজ্ব এম.এ. ওহাব আল-কাদিরী | ১৯৯৩ খ্রি. থেকে ২০০৪ খ্রি. পর্যন্ত। |
৪ | আলহাজ্ব প্রফেসর মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম | ১৮-০৫-২০০৪ খ্রি. থেকে অদ্যাবধি। |
সেক্রেটারী জেনারেলবৃন্দঃ
ক্রম | নাম | কার্যকাল |
---|---|---|
১ | মাষ্টার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল | ১৯৫৫ খ্রি. থেকে ১৯৬০ খ্রি. পর্যন্ত। |
২ | ডা. মুহাম্মদ জমি উদ্দীন | ১৯৬০ থেকে ১৯৬৫ খ্রি. পর্যন্ত। |
৩ | আলহাজ্ব শেখ মুহাম্মদ আফতাব উদ্দীন চৌধুর | ১৯৬৫ খ্রি. থেকে খ্রি. ১৯৮৭ খ্রি. পর্যন্ত। |
৪ | এ্যাডভোকেট আহমদুর রহমান বি.এ. এল | ১৯৬৮ খ্রি. থেকে ১৯৬৯ খ্রি.পর্যন্ত। |
৫ | আলহাজ্ব আবু মোহাম্মদ তবিবুল আলম | ১৯৬৯ খ্রি. থেকে ১৯৮৩ খ্রি. পর্যন্ত। |
৬ | আলহাজ্ব মুহাম্মদ যাকারিয়া | ১৯৮৩ খ্রি. থেকে ১৯৯২ খ্রি. পর্যন্ত। |
৭ | আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (ভারপ্রাপ্ত) | ১৯৯২ খ্রি. থেকে ১৯৯৩ খ্রি. পর্যন্ত। |
৮ | আলহাজ্ব আবু মুহাম্মদ তবিবুল আলম | ১৯৯৩ খ্রিঃ থেকে ১৯৯৯ খ্রি. পর্যন্ত। |
৯ | আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনওয়ার হোসেন | ২০০০ খ্রি. থেকে অদ্যাবধি দায়িত্বরত। |
অধ্যক্ষবৃন্দের তালিকা :
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি যুগবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় 'আলিমগণের হাতে অধ্যক্ষ পদ অলংকৃত হয়ে আসছে; যদ্দরুণ জামেয়া আজ উপমহাদেশে ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ও সূতিকাগারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসকল অধ্যক্ষের মধ্যে মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আল-কাদিরীই ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী হয়ে অত্যন্ত বিচক্ষণতা, পরিপক্কতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ যাবৎ কালের শীর্ষস্থানীয় আলিম অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
ক্রম | অধ্যক্ষবৃন্দের নাম ও ঠিকানা | শিক্ষাগত যোগ্যতা | কার্যকাল |
---|---|---|---|
১. | মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াকারুদ্দীন (রাহ.) পাকিস্তান | এম.এম | ১৯৫৪-৬২ খৃ. |
২. | মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহীম (রাহ.) সাতকানিয়া | এম. এম | ১৯৬২-৬৩ খৃ. |
৩. | মাওলানা আবু তাহির মুহাম্মদ নাযির (রাহ.) কুতুবতিদয়া | এম.এম | ১৯৬৩-৬৪ খৃ. |
৪. | মাওলানা মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান, (রাহ.) রাউজান | এম এম | ১৯৬৪-৬৬ খৃ. |
৫. | মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিহ উদ্দীন, (রাহ) চন্দনাইশ | এম.এম (হাদিস) এম.এ (ইতি.) | ১৯৬৬-৬৭ খৃ. |
৬. | মাওলানা মুহাম্মদ নসরুল্লাহ খান (রাহ.) পাকিস্তান | এম.এম. | ১৯৬৭-৬৯ খৃ. |
৭. | মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিহ উদ্দীন, (রাহ.) চন্দনাইশ | এম.এম (হাদিস) এম.এ (ইতি.) | ১৯৬৯-৭৭ খৃ. |
৮. | হাফিয মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলীল (রাহ.) চাদপুর | এম. এম (হাদিস), এম. এ. (ইতি), বি. সি. এস (শিক্ষা) | ১৯৭৭-৭৭ খ্রি. |
৯. | মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল গফুর (রাহ.) কুমিল্লা | এম. এ | ১৯৭৮ খ্রি. এর কিছুকাল |
১০. | মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ মুযাফ্ফর (রহ.) মিরসরাই | এম.এম., এম.এফ | ১৯৭৮ খ্রি.- ৭৯ খ্রি. |
১১. | মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল গফুর কুমিল্লা | এম. এ | ১৯৭৯ খ্রি. -৮০ খ্রি. |
১২. | মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আল কাদিরী চট্টগ্রাম | এম.এ ও এম.এফ | ১৯৮০ খ্রি.- ২০১৩ খ্রি. |
১৩. | মাওলানা মুহাম্মদ সগীর ওসমানী, চট্টগ্রাম, (ভারপ্রাপ্ত) | এম. এম | ২০১৩ খ্রি.- ২০১৬ খ্রি. |
১৪. | মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ সোলায়মান আনছারি চট্টগ্রাম | (অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত) | ২০১৬ খ্রি.- ২০১৭ খ্রি. |
১৫. | মোহাম্মদ অছিউর রহমান, চট্টগ্রাম | এম. এম. ও এম. এফ | ২০১৭ খ্রি. - ২০২২ খ্রি. |
১৬. | ড. মুহাম্মদ লিয়াকত আলী | (অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত) | ২০২২ খ্রি. - ২০২৩ খ্রি. |
১৭. | মাওলানা জসিম উদ্দিন আযহারী, চট্টগ্রাম | (অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত) | ২০২৩ খ্রি. অদ্যাবধি |
শিক্ষক পরিষদ :
শিক্ষক ঐতিহ্য ও মানসমৃদ্ধ শব্দ। এতে লুকায়িত আছে একজন শিক্ষার্থীর অপার ভবিষ্যৎ। জামেয়ার শিক্ষকমন্ডলীর জন্য রয়েছে আকাশচুম্বী মর্যাদা ও সম্মান। একজন শিক্ষকের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিতকরণ, পেশাগত স্বার্থ ও মা সংরক্ষণ, যথাযথ বাস্তবায়ন এবং শিক্ষকদের পারস্পরিক সংহতি ও সৌহার্দ বজায় রাখার মহা প্রত্যয়ে জামিয়ার অফিস কার্যালয়ে ২০০৫ এর ২৮ আগষ্ট গঠিত হয়েছে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া শিক্ষক পরিষদ। পদাধিকার বলে এ আদর্শিক সংগঠনের মহামান্য সভাপতি ছিলেন জামেয়ার অধ্যক্ষ বরেণ্য শিক্ষাবিদ খতিবে বাঙ্গাল আল্লামাহ মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আল কাদেরী রাহ.। এ সংগঠনের রয়েছে ১৭টি ধারা সম্বলিত একটি গঠনতন্ত্র।
একাডেমিক গ্রন্থাগার
গ্রন্থাগার :
একটি মানসম্মত গ্রন্থাগার যে কোন আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ও সুনামের ভীত রচিত হয় বহুমূখী ও দুর্লভ গ্রন্থরাজির মূখরিত গ্রন্থাগারের মাধ্যমে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক, অধ্যাপক ও গবেষকদের গবেষণাকর্মের তথ্য ও তত্ত্ব সংগ্রহের জন্য জামিয়ার লাইব্রেরীতে রয়েছে দূর্লভ গ্রন্থ। অনেক বিষয়াদির মূল্যমান দুপ্রাপ্য গ্রন্থরাজীর সংগ্রহে জামিয়া'র লাইব্রেরী সত্যিই আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরী। এম.ফিল ও পি- এইচ.ডি সহ উচ্চডিগ্রি অর্জনে ইচ্ছুক গবেষক এবং জামিয়াসহ সর্বস্তরের শিক্ষার্থী ও পাঠকদের পদচারণায় জামিয়া লাইব্রেরী সদ্য মুখরিত।
বোর্ড পরীক্ষার চমকপ্রদ ফলাফল :
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাদ্ররাসা এডুকেশন বোর্ড এর অধীনে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ফাযিল পর্যন্ত অন্তর্ভূক্তি লাভ করে। অন্তর্ভুক্তি লাভের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ঈর্ষান্বিত ও আকর্ষনীয় ফলাফল লাভ করে আসছে। জামিয়ার পৃষ্ঠপোষকের পরিকল্পনাভিত্তিক পরামর্শ, পরিচালনা পর্ষদের সফল পরিচালনা, ছাত্র-শিক্ষকগণের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও আল্লাহ তা'আলার অপার দয়ায় জামেয়ার ছাত্রদের বোর্ড পরীক্ষার কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রতিবছর জামেয়ার মেধাবী শিক্ষার্থীরা ছিনিয়ে আনছে কৃতিত্বের মালা।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া একটি সত্য ও আদর্শের প্রতীকী নাম। উপমহাদেশের আযহার নামে খ্যাত এ দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একমাত্র সঠিক মতাদর্শ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। কিশতিয়ে মূহ উপাধী লালন করে পথহারা ও সত্যাদর্শ বিমূখ মানুষকে কিয়ামত ধি মুক্তির কাণ্ডারী ভূমিকায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
সংগ্রহঃ কামিল বিদায়ী ব্যাস’১৭ আত্-তৈয়্যব
লেখক : মাওলানা মোহাম্মদ জিয়াউল হক রেযভি (রহঃ)
প্রভাষক, আল কুর'আন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া (কামিল) মাদরাসা, চট্টগ্রাম।
পি-এইচ. ডি গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
লেখক : মাওলানা মোহাম্মদ জিয়াউল হক রেযভি (রহঃ)
প্রভাষক, আল কুর'আন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া (কামিল) মাদরাসা, চট্টগ্রাম।
পি-এইচ. ডি গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।