কর্মদিবস -৩ (১২০ মিনিট)
প্রশ্ন:
কাজ ২: শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা ও উপস্থাপনা। (৬০ মিনিট)
ধাপ ৪: শিক্ষার্থীরা নিচে প্রদত্ত 'কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ও বিশ্ব' অনুচ্ছেদটি পাঠ থেকে প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বে বিষয়টি অনুধাবন করবে।
ধাপ ৫: সমাজের যেকোনো উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কিভাবে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করবে।
কাজের বিবরণী:
- শিক্ষাথাদের নিচের প্রাতবেদনটি পড়তে বলবেন।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ও বিশ্ব
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কলকারখানা স্থাপন, যানবাহন ও পরিবরহন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু এসব কলকারখানা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া পরিবেশে কার্বন নির্গত করে পরিবেশকে দূষিত করে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এতে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমূদ্রে পানিপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে সমূদ্র তীরবর্তী এলাকা ইতোমধ্যে ডুবে যাচ্ছে। বাংলাদেশরও সমূদ্রতীরবর্তী অঞ্চল ভবিষ্যতে ডুবে যেতে পারে। এরকম অবস্থায় বিশ্বব্যাপী এই দূষণকে রোধ করার জন্য বিভিন্ন দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক দেশ একসাথে কলকারখানা ও যানবাহনের নিসৃত কার্বনের ওপর শিক্ষাথাদের নিচের প্রাতবেদনটি পড়তে বলবেন। কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ও বিশ্ব যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কলকারখানা স্থাপন, যানবাহন ও পরিবরহন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু এসব কলকারখানা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া পরিবেশে কার্বন নির্গত করে পরিবেশকে দূষিত করে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এতে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমূদ্রে পানিপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে সমূদ্র তীরবর্তী এলাকা ইতোমধ্যে ডুবে যাচ্ছে। বাংলাদেশরও সমূদ্রতীরবর্তী অঞ্চল ভবিষ্যতে ডুবে যেতে পারে। এরকম অবস্থায় বিশ্বব্যাপী এই দূষণকে রোধ করার জন্য বিভিন্ন দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক দেশ একসাথে কলকারখানা ও যানবাহনের নিসৃত কার্বনের ওপর |
উপরের টেবল দেখা না গেলে আপনাদের জন্য নিচে ছবি আকারে দেওয়া হলো:
উপরের অনুচ্ছেদটি পড়ে শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে বলবেন। শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে কি কি উন্নয়ন দেখতে পায় তা দলগতভাবে আলোচনা করে নির্ণয় করতে বলবেন। এই উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কি ধরনের প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করতে বলবেন।
সমাধান:
প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বঃ
প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব বলতে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য, সহযোগিতা এবং বোঝাপড়ার ধারণাকে বোঝায়। প্রাকৃতিক উন্নয়নে, এই ধারণাটি বাস্তুতন্ত্রের আন্তঃসংযোগ এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। সামাজিকভাবে, এটি সহানুভূতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অসমতার মতো সাধারণ সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য ভাগ করা দায়িত্বের প্রচার জড়িত। প্রাকৃতিক উন্নয়ন ছাড়া সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাছাড়া সামাজিক বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তুলতে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করতে হয়। এই দুইটি উপাদানের যথাযথ ব্যবহারের জন্য বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের নিজস্ব পরিমন্ডলে যে উন্নয়নগুলো দেখতে পাই তা হলো:
১। শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপন।
২। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ।
৩। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ।
৪। কলকারখানা স্থাপন।
৫। সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ।
আমাদের নিজস্ব পরিমন্ডলে যে উন্নয়নগুলো দেখতে পাই তা হলো:
১। শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপন।
২। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ।
৩। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ।
৪। কলকারখানা স্থাপন।
৫। সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ।
পানি দূষণ: পানিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হয়ে পানি দূষিত হয়। পয়ঃনিষ্কাশন ও গৃহস্থালির বর্জ্য অথবা কারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে পানি দূষিত হয়। এছাড়াও ময়লা আবর্জনা পানিতে ফেলা, কাপড় ধোঁয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পানি দূষিত হয়। পানি দূষণের ফলে জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে এবং জলজ খাদ্য শৃঙ্খলের ব্যাঘাত ঘটছে। পানি দূষণের কারণে মানুষ কলেরা বা ডায়রিয়ার মতো পানি বাহিত রোগে এবং বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
মাটি দূষণ: বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর বস্তু মাটিতে মেশার ফলে মাটি দূষিত হয়। কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য, কলকারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও তেল ইত্যাদির মাধ্যমে মাটি দূষিত হয়। মাটি দূষণের ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দূষিত মাটিতে উৎপন্ন খাদ্য হিসাবে গ্রহণের ফলে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
বন উজাড়: কারখানা এবং অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমির বিশাল এলাকা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হতে পারে, যার ফলে বন উজাড় হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হতে পারে। বাস্তুতন্ত্রের ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণকারী গাছের সংখ্যা হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে।
ইতিবাচক প্রভাব:
১। বেকারত্ব হ্রাস।
২। অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন।
৩। প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধন ।
প্রশ্ন:
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে যেমন পারস্পরিক সহযোগিতা তৈরি হয়েছিল তেমনি বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের জন্য এই সহযোগিতা কীভাবে ভূমিকা রাখছে তা দলগতভাবে বিশ্লেষণ করতে বলবেন।
সমাধান:
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে যেমন পারস্পরিক সহযোগিতা তৈরি হয়েছিল তেমনি বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের জন্য এই সহযোগিতা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভারত। বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধে সেনা সহায়তা দেওয়াসহ সব ধরনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহায়তা দিয়েছিল। ভারতের সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে স্পষ্টভাবে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অন্যান্য অনেক দেশ বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল।
বর্তমানে বিভিন্ন দেশ জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পারস্পরিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য একে অপরকে জ্ঞান, প্রযুক্তি, শ্রমিক, অর্থ ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতা করছে। এই সহযোগিতার ফলে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।
প্রশ্ন:
শিক্ষার্থীরা উপরোক্ত দুটি আলোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন পোস্টার/কাগজ ইত্যাদি উপস্থাপন করবে। এভাবে আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃতি ও সমাজের আন্তঃসম্পর্ক উদঘাটন করে তাদের টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাবে।
সমাধান:
প্রিয় শিক্ষার্থীরা উপরোক্ত দুটি আলোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন পোস্টার উপস্থাপন করা হলো: