• ধাপ ৩ (তৃতীয় কর্মদিবস: ১২০ মিনিট বা প্রয়োজনে কিছুটা বেশি সময়)
কাজ ১ (দলগত কাজ, কনটেন্ট তৈরি): শিক্ষার্থী কোন কনটেন্ট তৈরি করার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন হলে ১ ঘণ্টা সময় কনটেন্ট তৈরির জন্য কাজে লাগাতে পারবে।
সমাধান:
শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই কম্পিউটারের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এই কনটন্ট তৈরি করার সময় শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষকরা সহযোগীতা করবে।
কাজ ২(দলগত উপস্থাপনা): শিক্ষার্থী দলগত ভাবে তাদের কাজ করা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে এবং সংকট মোকাবেলায় করনীয় এবং সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা (কর্মদিবস ২ এ করা সকল কাজ) উপস্থাপন করবে। (প্রতিদল সর্বোচ্চ ২০ মিনিট সময় পাবে)
সমাধান:
প্রিয় শিক্ষার্থীরা আমরা “২য় কর্মদিবসে” যে কাজগুলো করেছিলাম সেইসব কাজগুলো এনে শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। এই হলো কাজ-২ এর সমাধান।
কাজ ৩ রিফ্লেকশান পেপার বা প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন লিখাঃ
সকল শিক্ষার্থীর উপস্থাপন শেষ হলে শিক্ষার্থী এককভাবে একটি প্রতিবেদন লিখবে, এখানে সম্পূর্ণ কাজ করতে তার কেমন লেগেছে, দলের কাজে তার ভুমিকা কি ছিল এবং কি কি নতুন জানার সুযোগ হয়েছে তা সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় লিখবে।
সমাধান:
৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্পূর্ণ মূল্যায়নের কাজগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। বিশেষকরে দলগত কাজগুলো করার মাধ্যমে টিম ওয়ার্ক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিভাবে সবাই মিলে নির্দিষ্ট একটি কাজ পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করতে হয়। এবং সবার মতামতকে সম্মান দিয়ে তাদের ধারণাগুলোকে নিয়ে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতিতে সমাধান করা যায়। প্রথম কর্মদিবসে শিক্ষক আমাদের দলকে একটি জরুরি পরিস্থিতি দিয়েছিল এবং এই পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রায় কি কি ধরনের সংকট তৈরি হয় এবং করণীয় কী তা খুঁজে বের করতে বলেছেন। আমরা সবাই মিলে খুব সুন্দর করে তথ্যগুলো বের করেছি। তাছাড়া আমাদের আরেকটি কাজ দিয়েছিল সেটি হলো জরুরি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কি কি ধরনের সাইবার অপরাধ এবং তথ্যঝুকি হতে পারে তা চিহ্নিত করো এবং করণীয় কী। এই তথ্যগুলো বের করতে গিয়ে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। তাছাড়া সবাই মেসেজ, ছবি, ভিডিও এবং কমিকস ইত্যাদি কন্টেন্ট তৈরি করেছি। দলের আমার ভূমিকা ছিল মূলত গ্রুপ লিডার হিসেবে। সঠিকভাবে সবার কাজ হয়েছে কিনা এবং নিজের কাজগুলো মূল্যয়নের জন্য প্রস্তুত রাখা। সবশেষে বলা যায়, সামগ্রিক মূল্যায়ন পদ্ধতি আমার খুব ভালো লেগেছে। প্রত্যেকের মধ্যে একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার মনোভাব জাগ্রত হয়েছে এবং নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। মূলত সম্পূর্ণ মূল্যায়নটাই ছিল গ্রুপ ওয়ার্ক।