EV Class 4 Bangla : Chapter 1 - Bangladesher Prokriti (Solutions PDF)

EV Class 4 Bangla, Chapter 1, Bangladesher Prokriti, Solutions PDF,৪র্থ শ্রেণির বাংলা (ইংরেজি সংস্করণ) এর (১ম পাঠ: বাংলাদেশর প্রকৃতি) জন্য সমাধান
Admin
EV Class 4 Bangla : Chapter 1 - Bangladesher Prokriti (Solutions PDF)

English Version Class Four Bangla - Chapter 1: Bangladesher Prokriti (Textbook Solutions/ Questions Solved Guides)

৪র্থ শ্রেণির আমার বাংলা বই (ইংরেজি সংস্করণ) এর (১ম পাঠ: বাংলাদেশর প্রকৃতি) জন্য সহায়িকা সমাধান এবং নির্দেশিকা গাইড

বাংলাদেশ একটি প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি। এর নদী-নালা, পাহাড়, বনভূমি, এবং রূপবৈচিত্র্য আমাদের দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এখানে ছয়টি ঋতু আছে, যা দেশের প্রকৃতিকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, যা কৃষি, মৎস্য ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশের প্রকৃতি: পাঠ নির্দেশনা

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে প্রাসঙ্গিক গল্পের মধ্য দিয়ে পাঠের প্রতি তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করবেন। তিনি পাঠ্যবইয়ের বাইরের কোনো ছবি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বর্ণনা শুনতে চাইবেন। এরপর পাঠ্যবইয়ের ছবি সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করে তাদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটাবেন। তারপর পাঠের নির্ধারিত অংশ প্রমিত উচ্চারণে স্পষ্টভাবে কয়েকবার পড়ে শোনাবেন। শিক্ষার্থীরা লাইনের নিচে আঙুল রেখে প্রতিটি শব্দ ও বাক্য মেলাবে। এরপর শিক্ষকের সঙ্গে তারাও পড়বে। তারপর শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি দলে বসে একজন একজন করে পড়বে ও বাকিরা শুনবে। পড়া শেষ হলে শিক্ষক নতুন শব্দগুলো বোর্ডে লিখে বুঝিয়ে দেবেন এবং যুক্তবর্ণগুলো বিভাজন করে দেখাবেন। সবশেষে পাঠের সারসংক্ষেপ বলবেন।

অধ্যায়টি পড়ে যা শিখতে পারবে-

  • বাংলাদেশের প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য বলতে পারবে।
  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও পরিচিত পরিবেশ সম্পর্কে নিজের ভাষায় লিখতে পারবে।
  • বর্ণনা শুনে বিষয়বস্তুর মূলভাব বুঝতে পারবে।
  • পরিচিত ও পাঠ্যবইয়ের শব্দ দিয়ে তৈরি বাক্য শুনে বুঝতে পারবে।
  • যুক্তব্যঞ্জন দিয়ে গঠিত শব্দগুলো চিনতে পারবে।
  • পাঠে ব্যবহৃত বর্ণ, শব্দ ও বাক্য প্রমিত উচ্চারণে পড়তে পারবে।
  • বিরামচিহ্নের ব্যবহার বুঝে পাঠ্য বিষয়বস্তু সঠিকভাবে পড়তে পারবে।
  • প্রশ্ন করতে ও উত্তর দিতে পারবে।

রচনাটিতে যা বলা হয়েছে-

এ রচনায় বাংলাদেশের ষড়ঋতুর কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি ঋতুতে এদেশের পরিবেশ কেমন হয় সে সম্পর্কে বলা হয়েছে। দুমাস পর পর এক-একটি ঋতু আসে। গ্রীষ্মকালে অসহ্য রোদের তাপ, প্রচণ্ড গরম। বর্ষাকালে আকাশে নানা রঙের মেঘের ছোটাছুটি। শরতে দেখা যায় ঘন নীল আকাশ। হালকা শীতের অনুভূতি নিয়ে আসে হেমন্ত। শীতে আমরা প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপতে থাকি। আর বসন্তের বাতাস আমাদের মনপ্রাণ খুশিতে ভরিয়ে তোলে। ঋতুর এ পালাবদলের কারণেই আমাদের দেশ বিচিত্র।

অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো মনে রাখি

  • ষড়ঋতুর দেশ বলা হয়- বাংলাদেশকে।
  • বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু হলো- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।
  • বাংলা সনের বারো মাসের নাম- বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র।
  • একটি করে ঋতুর পালাবদল ঘটে- প্রতি দুই মাসে।
  • বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এ দুমাস মিলে গ্রীষ্মকাল।
  • আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুমাস মিলে- বর্ষাকাল।
  • ভাদ্র ও আশ্বিন এ দুমাস মিলে- শরৎকাল।
  • কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এ দুমাস মিলে- হেমন্তকাল।
  • পৌষ ও মাঘ এ দুমাস মিলে- শীতকাল।
  • ফাল্গুন ও চৈত্র এ দুমাস মিলে- বসন্তকাল।
  • মধুর মতো মিষ্টি নানা রকম ফল পাওয়া যায় বলে গ্রীষ্মকালকে বলা হয়- মধুমাস।
  • আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু হলো- গ্রীষ্মকালের ফল।
  • রৌদ্রের অসহ্য তাপ অনুভূত হয়- গ্রীষ্মকালে।
  • আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা থাকে- বর্ষাকালে।
  • হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে বলে- ইলশেগুঁড়ি।
  • বড়ো বড়ো ফোঁটায় প্রচুর বৃষ্টির নাম হলো- মুষলধারে বৃষ্টি।
  • কদম ও কেয়া ফুল ফোটে- বর্ষাকালে।
  • আকাশে সাদা মেঘ পেঁজা তুলোর মতো ভেসে বেড়ায়- শরৎকালে।
  • শিউলি ও কাশফুল দেখতে পাওয়া যায়- শরৎকালে।
  • সোনালি ধানের ঋতু- হেমন্ত।
  • ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব হয়- হেমন্ত ঋতুতে।
  • শীতের আগমন টের পাওয়া যায়- হেমন্তের শেষে।
  • উত্তুরে হাওয়া বয়- শীতকালে।
  • লেপ-কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়- শীতের রাতে।
  • গ্রামে গ্রামে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম পড়ে যায়- শীতকালে।
  • ফুরফুরে দখিনা বাতাস বয়- বসন্তকালে।
  • কোকিলের ডাক শোনা যায়- বসন্তকালে।
  • প্রকৃতি নতুন সাজে সেজে ওঠে- বসন্তকালে।
  • নানা রঙের ফুল ও নতুন পাতায় গাছ ভরে ওঠে- বসন্তকালে।

Conclusion

বাংলাদেশের প্রকৃতি আমাদের জন্য এক বিশাল আশীর্বাদ। এর বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া, নদ-নদী, বনভূমি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে পরিবেশ দূষণ, বন উজাড় এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে সুরক্ষিত রাখা এবং পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়া, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এর সৌন্দর্য ও সম্পদের সুফল ভোগ করতে পারে।