English Version Class Four Bangla - Chapter 4: Tunur Kotha (Textbook Solutions/ Questions Solved Guides)
৪র্থ শ্রেণির আমার বাংলা বই (ইংরেজি সংস্করণ) এর (৪র্থ পাঠ: টুনুর কথা) জন্য সহায়িকা সমাধান এবং নির্দেশিকা গাইড
'টুনুর কথা' একটি হৃদয়স্পর্শী গল্প, যেখানে শিশুমন, কৌতূহল, এবং সমাজের বিভিন্ন বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। গল্পটি ছোট্ট টুনুর জীবন ও তার চিন্তাভাবনা ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। শিশুরা কীভাবে চারপাশের পরিবেশ ও বাস্তবতা থেকে শেখে, তা এই গল্পে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি শিশুদের কল্পনাশক্তি এবং অনুভূতির জগৎকে আরও গভীরভাবে বোঝার সুযোগ করে দেয়।
টুনুর কথা: পাঠ নির্দেশনা
শিক্ষক টুনুর কথা সম্পর্কে শিশুদের ধারণা যাচাই করবেন। পাঠের নির্ধারিত অংশ প্রমিত উচ্চারণে স্পষ্টভাবে কয়েকবার পড়ে শোনাবেন। শিক্ষার্থীরা লাইনের নিচে আঙুল রেখে প্রতিটি শব্দ ও বাক্য মেলাবে। এরপর শিক্ষকের সঙ্গে তারাও পড়বে। তারপর শিক্ষার্থীরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে মুখোমুখি বসে একজন একজন করে পড়বে ও বাকিরা শুনবে। পড়া শেষ হলে শিক্ষক নতুন শব্দগুলো বোর্ডে লিখে বুঝিয়ে দেবেন এবং যুক্তবর্ণগুলো বিভাজন করে দেখাবেন। সবশেষে পাঠের সারসংক্ষেপ বলবেন।
অধ্যায়টি পড়ে যা শিখতে পারবে-
- পরিচিত ও পঠিত শব্দ দিয়ে গঠিত বাক্য শুনে মনে রাখতে পারবে।
- আদেশ ও নির্দেশ শুনে পালন করতে পারবে।
- যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দ ও বাক্য স্পষ্ট ও শুদ্ধভাবে বলতে পারবে।
- ছবি সম্পর্কে ধারণা ব্যক্ত করতে পারবে।
- বিরামচিহ্ন চিনে পাঠে ব্যবহৃত শব্দ ও বাক্য প্রমিত উচ্চারণে পড়তে পারবে।
- নিজের ও অন্যের হাতের লেখা অনুচ্ছেদ পড়ে বুঝতে পারবে।
- সহজ বিষয়ের বর্ণনা পড়ে বুঝতে পারবে।
- গল্প-সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে।
- নিজের দেখা ঘটনার বর্ণনা লিখতে পারবে।
রচনাটিতে যা বলা হয়েছে-
রচনাটিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শৈশব ও কৈশোরকালে ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহের কথা বলা হয়েছে। ছোটোবেলা থেকেই তিনি আকাশ, নদী, নৌকা, পাখি, গাছপালা, ফসলের মাঠ ইত্যাদির ছবি আঁকতেন। ছেলের আগ্রহ দেখে তাঁর মা সোনার হার বিক্রি করে তাঁকে কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দেন। সবচেয়ে ভালো ফল করে তিনি সেখানেই শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দুর্ভিক্ষ, ঘূর্ণিঝড়, গ্রামীণ জীবনযাত্রা প্রভৃতি নিয়ে তাঁর অনেক বিখ্যাত ছবি রয়েছে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের প্রথম আর্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো মনে রাখি
- বাবা-মা আদর করে জয়নুল আবেদিনকে ডাকতেন- টুনু।
- টুনুর বাড়ি ছিল- কিশোরগঞ্জ (বর্তমান নেত্রকোণা) জেলার কেন্দুয়া গ্রামে।
- টুনু নয় ভাইবোনের মধ্যে ছিল- বড়ো।
- কেন্দুয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে- ব্রহ্মপুত্র নদী।
- ছেলেটির ভালো লাগত- ছবি আঁকতে।
- ছেলেটি ছবি এঁকে দেখাত তার মাকে।
- সরকারি আর্ট স্কুল আছে- কলকাতা শহরে।
- ১৬ বছর বয়সে টুনু ছিল- দশম শ্রেণির ছাত্র।
- টুনুর বাবা ছিলেন- পুলিশ অফিসার।
- কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি করতে- টুনুর মা সোনার হার বিক্রি করেন।
- টুনু ছিল ক্লাসের সেরা ছাত্র।
- টুনুর আসল নাম হলো- জয়নুল আবেদিন।
- জয়নুল আবেদিনকে আমরা ডাকি- শিল্পাচার্য।
- জয়নুল আবেদিন পুরস্কার পান- সোনার মেডেল।
- সোনার মেডেল পান- ভারতের ছবির প্রদর্শনীতে।
- পড়াশোনা শেষ করে জয়নুল যোগদান করেন- কলকাতা আর্ট কলেজের শিক্ষক হিসেবে।
- দুর্ভিক্ষ হয়- বাংলা ১৩৫০ সনে।
- জয়নুল বিখ্যাত ছবি আঁকেন- ১৯৭০ সালে।
- জয়নুলের ১৯৭০-এর বিখ্যাত ছবি হলো- দুটি।
- জয়নুলের ১৯৭০-এর বিখ্যাত ছবির নাম হলো- 'নবান্ন' এবং 'মনপুরা-৭০'।
- 'নবান্ন' ছবিতে- তিনি এদেশের গ্রামবাংলার মানুষের জীবনযাত্রা ফুটিয়ে তোলেন।
- 'মনপুরা-৭০' ছিল- ঘূর্ণিঝড়ের ছবি।
- এদেশে বড়ো ঘূর্ণিঝড় হয়- ১৯৭০ সালে।
- জয়নুলের আরও কিছু বিখ্যাত ছবি- 'বিদ্রোহী', 'মইটানা', 'গুনটানা', 'গাঁয়ের বধূ' ইত্যাদি।
- জয়নুল ঢাকায় আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন- ১৯৪৮ সালে।
- স্কুলটিকে ঢাকা আর্ট কলেজে রূপ দেন- ১৯৫৮ সালে।
- আর্ট কলেজ বর্তমানে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট।
- জয়নুল আবেদিন জন্মগ্রহণ করেন- ১৯১৪ সালের ২৯শে ডিসেম্বর।
- জয়নুল আবেদিন মৃত্যুবরণ করেন- ১৯৭৬ সালের ২৮শে মে।
Conclusion
'টুনুর কথা' গল্পটি শিশুদের অনুভূতি ও কল্পনাশক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে। এটি আমাদের শেখায় যে শিশুরা আমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবি এবং তাদের চিন্তা-ভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। শিশুদের কৌতূহল ও শেখার ইচ্ছাকে উৎসাহিত করলে তারা ভবিষ্যতে সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।